অনন্য সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তীর জীবনের অজানা অধ্যায়

অনন্য সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী

অনন্য সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী (জন্মঃ- ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৩ - মৃত্যুঃ- ২৮ আগস্ট, ১৯৮০)৷ শিবরামের জন্মের পর ওঁর বাবা শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী লিখেছিলেন—

বঙ্গাব্দ তেরশ দশ প্রাতে রবিবার
সাতাশে অগ্রহায়ণ শিবের কুমার
শিবরাম জন্মিল লীলাশঙ্খ বাজাইল
শিবহৃদে উপজিল আনন্দ অপার।

সাধারণত বাচ্চারা জন্মানোর সময় হাত মুঠো থাকে, কিন্তু শিবরাম জন্মেছিলেন দুহাত খুলে।  নানান মহিলাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল যে, এ ছেলে একেবারে উড়নচণ্ডী হবে, কিচ্ছু এর হাতে থাকবে না। 
শিবরামের বাবা বলেছিলেন, এ ছেলে কাউকে বাঁধবে না, কারো কাছে কোথাও বাঁধা পড়বে না। আমারই ছেলে তো! আমার মতোই জন্মসন্ন্যাসী। মুক্ত হাতে এসেছে, মুক্ত হাতে যাবে ।

কবিতা-রচনা দিয়ে তাঁর সাহিত্য-জীবনের শুরু। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় 'ভারতী' পত্রিকায়। প্রথম দুটি বই প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তারপর অজস্র লেখা লিখেছেন। প্রবন্ধ, নাটক এবং অদ্বিতীয় অজস্র হাসির গল্প। লিখেছেন 'ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা' নামে এক অনন্য স্মৃতিকথা। প্রবন্ধের বই : 'মস্কো বনাম পন্ডিচেরি' ও 'ফানুস ফাটাই' , নাটকের গ্রন্থ : 'যখন তারা কথা বলবে'। বিচিত্র জীবন ছিল তার। রাজনীতি করেছেন, জেলখেটেছেন, রাস্তায় কাগজ ফেরি করেছেন, ফুটপাথে রাত্রিবাস করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, আজীবন মেস-জীবন যাপন করেছেন। করেননি যা, তা হল বিয়ে।

শিবরাম মানেই হাসির পটরা। নানা রঙের হাসির ফোয়ারা বইয়ে মরু গাঙে জোয়ার আসার মত দুঃখে ভরা প্রাণে হাসির পরশ ছড়িয়ে দেয়। তাঁর গল্পও রম্য রচনা, যার অণুতে অণুতে ছড়িয়ে আছে কেবলই হাসি আর হাসি। ছোটদের জন্য তার রয়েছে প্রচুর লেখালেখি। ছোটদেরকে এতটাই ভালবাসতেন যে, সবসময় নিজের ফেলে আসা শৈশবকে ফিরে পেতে শিশুদের মত তিনি থাকতে, খেতে ভালবাসতেন। তার প্রিয় জিনিস ছিল টফি বা চকলেট। লেখালেখি না থাকলে মুখের ভেতরে একটা চকলেট নিয়ে তাকে চুষতে দেখা যেত। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে তার এই সম্পর্ক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বজায় ছিল। বাংলা সাহিত্য ও সংবাদপত্র জগতে তাই শিবরাম চক্রবর্তী এখনও শিশুদের পরম বন্ধু হয়েই বেঁচে আছেন, আর বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

 বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে তার ভাগ্যান্বেষণে। একসময় তিনি জীবিকার তাগিদে সংবাদপত্রের হকারি করেছেন। সেই সময় কোলকাতার বিখ্যাত সংবাদপত্র বসুমতি বিক্রি করেছেন। এরপর সওদাগরী অফিসে কম মাইনার চাকরি করেছেন। কিন্তু তখনও লেখা-লেখিতে হাত দেননি। অবশেষে একটা সময় এসে তাকে লিখতে হয়। কারণ লিখেই তাকে খেতে হয়। দৈনিক বসুমতির সম্পাদক হেমন্ত প্রসাদ ঘোষই তাকে লেখালেখিতে নিয়ে আসেন। সাহিত্য সাধনা শুরু করে তিনি বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন তোলেন। রস রচনা এবং কৌতুক রচনায় সিদ্ধহস্ত শিবরাম গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতাও লিখেছেন। তার উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'প্রেমের পথ ঘোরাল আজ এবং আগামীকাল', মেয়েদের মন, শিবরাম রচনাবলি, ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা প্রভৃতি। আবার তিনি ছোটদের জন্য প্রচুর লিখেছেন। শিশুকালকে ধরে রাখতে তার এসব শিশুতোষ লেখা-লেখি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান জুড়ে রয়েছে। ছোটদের জন্য লেখা জন্মদিনের উপহার তার বিখ্যাত বই।

শিবরামকে বাংলা সাহিত্য কিভাবে পেল তার একটা স্বল্প ইতিহাস আছে। একবার শিবরাম মাসিক ২ টাকা সুদে এক কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে ৫০ টাকা কর্জ নেন। প্রথম মাসের কিস্তিটা নিয়ে কোন বিড়ম্বনা হয়নি। কারণ ২ টাকা সুদ কেটে রেখেই কাবুলিওয়ালা তাকে ৪৮ টাকা দেয়। কিন্তু গোল বাঁধে পরের মাসে এসে। মাস শেষ হতে চললেও শিবরাম সুদের ২ টাকা কোনভাবেই জোগাড় করতে পারেন না। কিন্তু কাবুলিওয়ালার তাগাদা তাদের সময়-জ্ঞান অত্যন্ত প্রখর। এসব কাবুলিওয়ালার নামে নানা ধরনের গল্প প্রচলিত ছিল। আর এসব কোন গল্প নয়, একেবারেই বাস্তব। যেমন, নির্ধারিত দিনে তাগাদায় গেছে কাবুলিওয়ালা। খাতক বললেন, 'খান সাব আজ নেই কাল সোভা মে আয়েগাঁ— সঙ্গে সঙ্গে লাঠিতে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ পরে চোখ খুলে বলল, কাল হো গিয়া, টাকা দিউ— এদের তাগাদা এমনই ছিল যে বর্গির হামলা যেমন ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে তেমনি কাবুলি তাগাদা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। কেউ যদি কড়াভাবে তাগাদা করে তখন বলা হয় একেবারে কাবুলি তাগাদা। যা হোক, সেই কাবুলিওয়ালার তাগাদা থেকে রেহাই পেতে মেছ ছাড়া হলেন শিবরাম। কিভাবে ঋণের টাকা শোধ করবেন তা ভেবে ভেবে শরীর শুকিয়ে আমচুর। ঠিক এমনি যখন অবস্থা তখন হঠাৎ করে এক দৈনিকের সম্পাদক বললেন, শিবরাম তোমাকে একটা কথা বলি—

-কি কথা?
কথা হচ্ছে তুমি লেখালেখি শুরু কর। 
শিবরাম বললেন, আপনি আর রসিকতা করার বিষয় খুঁজে পেলেন না— "লেখালেখি করব এই আমি— অসম্ভব—!
-না ভাই অসম্ভব হবে কেন? তুমি লেখ আমি তোমাকে বলছি, এ লাইনে তোমার যশ অর্থ দুই প্রাপ্তি ঘটবে—

মানুষ এর চেয়ে কম অনুরোধে গলে যায়— মানে যাকে বলা হয় অনুরোধে ঢেঁকি গেলা— সেখানে একজন সম্পাদকের অনুরোধ তাকে সহসাই কাবু করে ফেলল। তিনি একটা লেখা নিয়ে পরদিন সম্পাদকের দপ্তরে হাজির। লেখাটা নিয়ে সম্পাদক তাকে ৫টি টাকা নগদে হাতে দিলেন। উদ্দেশ্য তাকে আরো উত্সাহিত করা। টাকাটা পেয়ে আনন্দ ধরে না। তিন টাকা খরচের জন্য রেখে বাকি ২ টাকা কাবুলিওয়ালাকে খুঁজে সুদের টাকা বুঝিয়ে দিলেন। লাঠিতে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো কাবুলিওয়ালাকে বেশ ভালভাবেই একটা ঝাঁকুনি দিলেন। এরপর অতিদ্রুত লেখালেখি করে সেই অর্থে কাবুলিওয়ালার দেনা শোধ করলেন। কাবুলিওয়ালার দেনা শোধ আর বাংলা সাহিত্যকে আজীবন ঋণের মাঝে আবদ্ধ করলেন এই শিবরাম।

চিরকুমার শিবরাম কোলকাতা শহরে এসে ২৩৪ মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের একটি কক্ষে জীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সেই কক্ষে থেকেছিলেন। আজীবন বেহিসেবী শিবরাম কখনই দেনা-পাওনার হিসাব কাগজ-কলমে রাখতেন না। ছোট্ট কক্ষের দেয়ালই ছিল তার হিসাবের খাতা। সারা দেয়াল জুড়ে কার কাছে কত পাবেন তার নাম ও পরিমাণ উল্লেখ করে লেখালেখি। এসব নাম কখনোই কাটা যায়নি। কারণ তার দেনাদারেরা ঋণ শোধ করে ঋণমুক্ত হওয়াকে পাপ জ্ঞান করতেন। শিবরাম তাই লিখেছিলেন, অমুককে টাকা দিলাম। সে টাকাটা হাতে পেয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে বলল, শিবরাম ভায়া আমাকে তুমি চিরঋণী করলে। তোমার এ টাকাটা না পেলে এই কোলকাতা শহরে আজ আমাকে ট্রামের তলায় পড়ে আত্মহত্যা করতে হতো। ভাই তাই তোমার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে রইলুম। বলাবাহুল্য সে আর কোনদিনই শিবরামের ঋণ শোধ করার কথা মাথায় আনতো না। আর শিবরাম লিখলেন, সত্যিই তুমি আমার কাছে চিরঋণী হয়েই রইলে।

শিবরাম নিয়মিত লিখতেন একথা বললে তার প্রতি বড়ই অবিচার করা হবে। শিবরাম তখনই লিখতেন যখন তার পকেট বাড়ন্ত। বিকালে হয়ত প্যাড়া সন্দেশ, একটা ঝালমুড়ি, ডালপুরি অথবা আলুর দম দিয়ে কচুরি খেতে ইচ্ছে হল। কিন্তু পকেটে টাকা নেই। বসে গেলেন লিখতে। লেখা শেষ করে সম্পাদকের টেবিলে হাজির। লেখাটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ছাড়ো তো দু'টি টাকা। সম্পাদক সাহেব লেখা নিয়ে হাসতে হাসতে দু'টি টাকা বের করে দিলেন। শিবরাম ঝড়ের বেগে বের হয়ে এসে তার পছন্দের খাদ্য কিনে কক্ষে ফিরলেন। বেশ জমিয়ে খাবেন বলে আগে থেকেই স্থির করেছে, শেষে দেখা গেল আগন্তুক আরো দু'জন অতিথি। কি আর করা, তিনজন মিলেই ভাগ করে খেলেন। পেট না ভরুক, ক্ষতি নেই, মনতো ভরলো।

নিজেকে নিয়ে রসিকতা করতে তার জুড়ি ছিল না। একবার হয়েছে কি— বন্ধুরা এসেছে শিবরামের মেসবাড়িতে। সকলে জুতা খুলে তার কক্ষে ঢুকেছেন। জুতা বাইরে। তাই দেখে শিবরাম হাসতে হাসতে বললেন, বুঝেছি, বুঝেছি, আমার ঘরের ময়লা তোমাদের দামী জুতায় লাগবে বলেই তোমরা জুতাগুলো বাইরে রেখে সে ময়লার হাত থেকে কৌশলে জুতাকে বাঁচালে—শিবরামের বাসায় একজন থাকবেন এমন সংবাদে চিররসিক শিবরাম বললেন, শিবের বাড়িতে আপনি থাকবেন, এতো বড়ই আনন্দের কথা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘদিনের বিছানা-বালিশ আর অনেকদিন ধরে মানে বলতে পারেন বিছানাটা পাতার পর তা আর তুলে দেখা হয়নি। এর নিচের অনেক সরীসৃপই আমার সাথে বসবাস করে। অবশ্য এদের প্রজাতি সাপ, ছুঁচো থাকাটাও বিচিত্র নয়—সাপ আছে এমন কথার পর আর কেউ কি সাপের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি হবেন? একমাত্র নাগরাজ শিকারী সেই গল্পের সাপুড়ে ছাড়া। শিবরাম আমাদের শিবরাম চকোত্তি—তাই চির কৌতুক সঙ্গী করেই একদিন গত হলেন, অকৃতজ্ঞ বাঙালি সেদিনটাকেও মনে রাখেনি। বাঙালি কেবলই নিয়েছে, দেয়নি কিছুই—। শিবরামের ভাষায়: তার কাছে আমরা চিরঋণী হয়ে রইলাম কিন্তু সে ঋণটুকু শোধ করার মত হিম্মত দেখাতে পারলাম কই? শিবরাম যেখানেই থাকেন না কেন, সুখে ও চিরশান্তিতে থাকুন। আর ক্ষমা করুন আমাদের এই অকৃতজ্ঞতাকে। 
..........
আজকে আমার শরীর খারাপ - শিব্রাম চক্কোত্তি

শরীরটা আজ ক্লান্ত ভারি,
ক’রছে গা ম্যাজম্যাজ,
ঠিক করেছি বিশেষ কিছুই
খাব না তাই আজ।
সকাল বেলায় চায়ের সাথে-
গামলা খানেক মুড়ি
তেল, লঙ্কা মাখিয়ে,
সাথে পেঁয়াজি, ফুলুরি।

সকাল, ধরো নয়'টা নাগাদ,
থাকলে মুখে রুচি,
খেতে পারি ঘি-য়ে ভাজা
গণ্ডা দশেক লুচি।
সঙ্গে আলু, বেগুন ভাজা,
আচার, আলুর দম,
রসগোল্লা গোটা বিশেক,
লাড্ডু ও চমচম।

দুপুরেতে কি আর খাব ?
শরীর ভাল নয় !
ভাতের সাথে কাতলা মাছের
টুকরো গোটা ছয়।
কচি পাঁঠার মাংস কষা
বড় দু-চার বাটি,
মিষ্টি দই আর চাটনি হ’লে
চলবে মোটামুটি।

বিকাল বেলায় খাব না হয়
আপেল, খেজু্র, কলা,
গোটা পাঁচেক ডাবের জল,
আর অঙ্কুরিত ছোলা।
সন্ধ্যাবেলায় চায়ের সাথে,
প্রন কাটলেট, ফ্রাই,
এর বেশী আর খাবো না, পেট
খালি রাখা চাই।

রাত্রি বেলায় গুরুভোজন
আজ তো আমার মানা,
খাবো দুধের ক্ষীর মেখে ওই
রুটি পঁচিশ খানা।
সঙ্গে সরেস ছানার পায়েস
রাবড়ি আধা কিলো,
শরীর খারাপ, এর বেশী কি
খেতে পারি বলো ?

শরীরে আজ পাচ্ছি না জুত,
নাড়ীর গতি ক্ষীণ,
অল্প এমন খেয়েই কাটুক
আজকে সারা দিন।
এমনিতে ও খাওয়া আমার
কম-ই একেবারে,
পেটুক মানুষ দেখলে আমি,
লজ্জ্বাতে যাই ম’রে।।
..............

সাহিত্য কর্ম

উপন্যাস
• বাড়ি থেকে পালিয়ে
• কলকাতার হালচাল
• হাতির সঙ্গে হাতাহাতি 
• অকথিত কাহিনী
• জীবনকেষ্টর জীবন-নাট্য
• কৃতান্তের দন্তবিকাশ 
• বর্মার মামা
• কে হত্যাকারী

গল্প
• হাতির সঙ্গে হাতাহাতি
• অশ্বত্থামা হতঃ ইতি
• ঘোড়ার সঙ্গে ঘোরাঘুরি
• অঙ্ক সাহিত্যের যোগফল
• জোড়া-ভরতের জীবন কাহিনী
• হাতাহাতির পর
• মন্টুর মাস্টার
• নরখাদকের কবলে
• পরোপকারের বিপদ
• শ্রীকান্তের ভ্রমন-কাহিনী
• শুঁড় ওলা বাবা
• হরগোবিন্দের যোগফল
• বিহার মন্ত্রীর সান্ধ্য বিহার
• পাতালে বছর পাঁচেক
• বক্কেশ্বরের লক্ষ্যভেদ
• একটি স্বর্ণঘটিত দুর্ঘটনা
• একটি বেতার ঘটিত দুর্ঘটনা
• আমার সম্পাদক শিকার
• আমার ভালুক শিকার
• আমার বাঘ শিকার
• আমার ব্যাঘ্রপ্রাপ্তি
• ভালুকের স্বর্গলাভ
• কাষ্ঠকাশির চিকিৎসা
• গোখলে গান্ধীজী এবং গোবিন্দবাবু
• দাদুর ব্যারাম সোজা নয়
• দাদুর চিকিৎসা সোজা নয়
• বিজ্ঞাপনে কাজ দেয়
• প্রবীর পতন
• জাহাজ ধরা সহজ নয়
• শিবরাম চকরবরতির মত কথা বলার বিপদ
• নিখরচায় জলযোগ
• নববর্ষের সাদর সম্ভাষন
• কল্কেকাশির অবাক কান্ড
• হর্ষবর্ধনের সূর্য-দর্শন
• বিগড়ে গেলেন হর্ষবর্ধন
• হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার
• ডাক্তার ডাকলেন হর্ষবর্ধন
• হর্ষবর্ধনের কাব্য চর্চা
• ঋণং কৃত্বা
• মাসতুতো ভাই
• ছারপোকার মার
• কল্কেকাশির কান্ড
• কালান্তক লাল ফিতা
• পিগ মানে শুয়োরছানা
• হাওড়া আমতা রেললাইন দুর্ঘটনা
• স্যাঙাতের সাক্ষাত
• যাহা বাহান্ন
• পন্ডিত বিদায়
• ঘটোৎকচ বধ
• যখন যেমন তখন তেমন 
• হারাধনের দুঃখ
• পঞ্চাননের অশ্বমেধ
• একদা এক কুকুরের হাড় ভাঙিয়াছিল
• নকুড়বাবুর অনিদ্রা দূর
• বিশ্বপতিবাবুর অশ্বত্ব প্রাপ্তি
• সমস্যার চূড়ান্ত
• আলেকজান্ডারের দিগ্বিজয়
• একলব্যের মুন্ডপাত
• তারে চড়ার নানান ফ্যাসাদ
• প্রকৃতিরসিকের রসিক প্রকৃতি
• মহাযুদ্ধের ইতিহাস
• মহাপুরুষের সিদ্ধিলাভ
• পৃথিবীতে সুখ নেই
• নাক নিয়ে নাকাল
• নাকে ফোঁড়ার নানান ফাঁড়া
• ইঁদুরদের দূর করো
• নিকুঞ্জকাকুর গল্প
• পাকপ্রণালীর বিপাক
• অগ্নিমান্দ্যের মহৌষধ
• আস্তে আস্তে ভাঙো
• টুকটুকির গল্প
• ম্যাও ধরা কি সহজ নাকি
• চাঁদে গেলেন হর্ষবর্ধন
• চেঞ্জে গেলেন হর্ষবর্ধন
• গোঁফের জ্বালায় হর্ষবর্ধন
• দোকানে গেলেন হর্ষবর্ধন
• গোবর্ধনের প্রাপ্তিযোগ
• হর্ষবর্ধনের চৌকিদারি
• হর্ষবর্ধনের বিড়ম্বনা
• হর্ষবর্ধনের উপর টেক্কা
• মামির বাড়ির আবদার
• সোনার ফসল
• গোলদিঘিতে হর্ষবর্ধন
• হর্ষবর্ধনের পাখি শিক্ষা
• দেশের মধ্যে নিরুদ্দেশ
• বাড়ির ওপর বাড়াবাড়ি
• পত্রবাহক
• হর্ষবর্ধনের হজম হয় না
• হর্ষবর্ধনের অক্কালাভ
• চোর ধরল গোবর্ধন
• ধাপে ধাপে শিক্ষালাভ
• বৈজ্ঞানিক ভ্যাবাচাকা
• চোখের ওপর ভোজবাজি
• গোবর্ধনের কেরামতি
• অ-দ্বিতীয় পুরস্কার
• চেয়ারম্যান চারু
• ঘুমের বহর
• পরিত্যক্ত জলসা
• সীট+আরাম =সীটারাম 
• মারাত্মক জলযোগ
• নরহরির স্যাঙাত
• জুজু
• বাসের মধ্যে আবাস
• ছত্রপতি শিবাজী
• প্রাণকেষ্টর কান্ড
• আমার বইয়ের কাটতি
• শিশু শিক্ষার পরিণাম
• মই নিয়ে হৈ চৈ
• ভোজন দক্ষিণা
• লাভপুরের ডিম
• এক দুর্যোগের রাতে
• মাথা খাটানোর মুস্কিল
• ঢিল থেকে ঢোল
• পড়শীর মায়া
• ভাগনে যদি ভাগ্যে থাকে
• গ্যাস মিত্রের গ্যাস দেওয়া
• ডিটেকটিভ শ্রীভত্তৃহরি
• ভূতে বিশ্বাস করো ?
• লক্ষন এবং দুর্লক্ষন
• ভূত না অদ্ভুত
• এক ভূতুরে কান্ড
• ধূম্রলোচনের আবির্ভাব
• বাসতুতো ভাই
• গদাইয়ের গাড়ি
• হাতি মার্কা বরাত
• ট্রেনের ওপর কেরামতি
• রিক্সায়া কোন রিস্ক নেই
• খবরদারি সহজ নয়
• কলকাতার হালচাল
• হাওড়া আমতা এক্সপ্রেস
• দেবতার জন্ম

কবিতা
• বাড়িওলার বাড়াবাড়ি
• নাম বিভ্রাট
• জন্মদিনের রিহার্সাল 
• সাবাস্ দৌড়
• অমার্জনীয়
• পৃথিবী বানানো 
• মার চিঠি
• কাঁচা সোনার রোদ
• জমাখরচ 
• মশার মুশকিল
• কচি মুখ

নাটক
• পন্ডিত বিদায়
• মামা ভাগ্নে
• ভোজবাজি 
• বেতন-নিবারক বিছানা
• তোতলামি সারানোর স্কুল,   আরও অনেক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ