কীভাবে একটি লেখার জন্ম হয়?


• সরদার মোহম্মদ রাজ্জাক

একজন লেখক যখন সাহিত্য বিষয়ক কোনও লেখা লিখতে শুরু করেন তখন তার মনে হয় তিনি যেন প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রবল তরঙ্গ সঙ্কুল একটি বিশাল সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন। তারপরেও দেখা যায় তিনি সমুদ্রেরর তীরে এসে পৌঁছেছেন— এবং তার লেখাটি শেষ হয়েছে। তখন তিনি উত্তপ্ত আনন্দে আপ্লুত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কিছু সময় পর পূণরায় যখন তিনি লেখাটি পাঠ করেন তখন তার মননটি বিদ্ধস্ত হয়ে যায় এই ভেবে যে, এভাবে লেখাটি শেষ করা মোটেই সঠিক হয় নি। লেখাটিকে আরও উন্নত করা যেতো। আর তখনই তার মানসিকতা জুড়ে একটি তীব্র অতৃপ্ততা বোধ ক্রিয়াশীল হতে শুরু করে এবং লেখককে তাড়িত করতে থাকে লেখাটিকে সংশোধন করবার অথবা নতুন করে লিখবার। লেখক তখন পূণরায় লেখাটিকে হয় সংশোধন করতে শুরু করেন অথবা নতুন করে লিখতে উদ্যত হন। এই যে লেখকের মনোভূমিতে নতুন করে লিখবার প্রেরণাটি সৃষ্টি হয় সেটি তিনি প্রাপ্ত হন ওই অতৃপ্ততা থেকে। আর এই অতৃপ্ততা একজন লেখকের সবচাইতে বড় সম্পদ। অতঃপর এ অতৃপ্ততা টুকুই পারে একজন লেখককে অসাধারণ একজন সাহিত্যিকে রূপান্তরিত করতে। স্রোষ্টা যদি তার সৃষ্টিকে দ্বিধাহীন চিত্তে ভেঙ্গে ফেলতে না পারেন তাহলে নবতর আঙ্গিকে কোনও সৃষ্টি তিনি করতে পারবেন কি? এটি আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের সামান্য একটি প্রশ্ন এবং বিশ্বাস মাত্র। অরও বিশ্বাস যে, এমনি ক’রেই একটি উৎকৃষ্ট লেখার জন্ম সম্ভব হ’য়ে উঠতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ