পড়ে, যেখানে সেখানে না ফেলে,এই ঝুড়িতে ফেলুন। দয়া করে।এটা একটা রগড়ের গল্প। মাছ বাজারে, হাঁকাহাকি। না ছবি বেচাকেনা হচ্ছে না, ছবি কী ভাষায় এতদিন কথা বলে এসেছে, আজ কী ভাষায় কথা বলছে, বাজারের মধ্যে, তাই হচ্ছে বিষয়। কোথায় দেখানো হচ্ছে তা ঠিক করে দিচ্ছে, সে কী ভাষায় কথা বলবে, এই নয় সবাই এক লহমায় সব বুঝে যাবে, কাউকে কিছু বোঝানোর গল্পই থাকবে না। শুধু একটা রগড়ে ঢুকে পড়া। এবং দেখতে থাকা, হলোটা কী?? ব্যাস এইটুকু। আমি বাজারে যাচ্ছি না, বাজার আমার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। লে লে বাবু ছ আনা, তাও নয়।৯, ১০ ও ১১ জুলাই, ২০২৪আয়োজক: জোনাকি নাট্যগোষ্ঠী, হাওড়া। সহযোগিতায়: কালিবাবুর বাজারের মৎস ব্যাবসায়ী সমিতি। হিরণ মিত্র একক।
এ প্রসঙ্গে ‘জারি বোবাযুদ্ধ’ সম্পাদক জনাব লালা ফেসবুকে আয়োজনের আগের রাতে ফেসবুকে লিখেছেন:
হাওড়ার কালীবাবুর মাছ-বাজারে আগামীকাল সকাল থেকে হিরণ মিত্রের প্রদর্শনী শুরু হবে। তিনদিনের এই প্রদর্শনীর শিরোনাম: আর্ট ইন এভরিওয়ান।
আজ বিকেলে গিয়েছিলাম সেখানে। হিরণদার সাথে। আর ছিল কাঞ্চন এবং প্রদীপ্ত। তাপসও চলে এসেছিল।
আজকের ব্যাপারটা আলাদা।একটা অন্য অভিজ্ঞতা। ছবিগুলো টাঙানো হবে। সেইটা দেখতে।
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলতেন— গল্প লেখকের দায়বদ্ধতা হলো গল্পের ক্ষতস্থানটি ব্যান্ডেজ খুলে পাঠককে দেখানো।একই দায়বদ্ধতা কবির।গায়কের। এবং চিত্রশিল্পীর।
রোল করা এক একটা লম্বা ক্যানভাস টাঙানো হচ্ছিল, আর আমরা দেখছিলাম সেই ক্ষতস্থান।দেখছিলাম কীভাবে একজন শিল্পী নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নেন। সময় বদলে যায়। শিল্পীর ছবিও বদলাতে থাকে। কোথা থেকে আসে এই বিচিত্রতার সমাহার!
হিরণদার ছবির এই অদ্ভুত বৈচিত্র্যকে প্রশংসা করা অভ্যাসে পরিণত না করলেও, আমরা একথা মানি উনি আলাদা হয়েছিলেন বলেই তাঁকে আমরা ভালোবাসি। তাঁর সমসাময়িক শিল্পীরা যে জগতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন, সেখানে কেউ কেউ পৌঁছেছিলেন।বাণিজ্যিক সফলতাও হয়তো অর্জন করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু বৈচিত্র্য আর কজন উপহার দিতে পেরেছিলেন শেষ অব্দি?
কখনো কখনো আমার মনে হয়েছে, হিরণদাকে তাঁর নিজস্বতার জন্য যে মূল্য দিতে হয়েছিল, তা হচ্ছে নিঃসঙ্গতা।
তাতে কিছু অবশ্য যায় আসেনি।
৮ জুলাই ২০২৪
0 মন্তব্যসমূহ
প্রাসঙ্গিক ও মার্জিত মন্তব্য করুন