▇ সাম্য রাইয়ান
এমনই অন্ধকার, যেন পৃথিবী গাছের গহ্বর৷ শরীর থেকে তার পালক খ্বসিয়ে দিলে, আহা গাছ, মগ্ন সে গাছ, ওর জন্য আমার খারাপ লাগে৷ এ মাদকতা দুঃসহ৷ মৃত মানুষের অনুভূতি জাগিয়ে দেয়৷ আমব্রেলা ভালোবাসা কালি থেকে বেরিয়ে বাহারি দরজা খুঁজে ফেরে৷
একদিন দেখে নিও ঘুমিয়ে নেবো ঠিক৷ আজ তো ঘুম হলো না, কালও হয়নি৷ হবে না তা তো নয়৷ একদিন ঘড়ির কাটা পেরিয়ে ঘুমিয়ে নেবো ঠিক৷
পৃথিবী খুব একটা মজার জায়গা না৷ ভেবেছি এখানে এসে প্রেমের দেখা পাবো, কোথায় আমার প্রেমিকা, হাওয়া…৷ আমার সাথে তার দেখা হলো না৷ অযথা এদিক সেদিক ঘুরলাম, আগের জীবন ভাবলাম, সুখী ছিলাম৷ তুমি কই? তীব্র গতিতে পার করো হাওয়া৷ পৃথিবী অতোটা মজার জায়গা না৷
এখানে কোথাও প্রেম নাই, জানো? ভালোবাসা নাই৷ মিথ্যা বলেছে আমাদের৷ প্রেম আসলে সুবিধার জিনিশ না৷ একদিন হৃদয়ের ছবি দেখে জামা কিনলাম৷ সেই জামা কেনার ফলে আমি দুইটি হৃদয়ের মালিক হলাম৷ জামার হৃদয় আমার জন্য রেখে অন্যটা কুচি কুচি কেটে হালকা লবন দিয়ে সেদ্ধ করলাম; বিকেলে বন্ধুর দাওয়াত৷
আমার আছে জ্বর; পথে ঘোরেফেরে এক জ্বরাক্রান্ত মন৷ কাউকে বলা হয় নাই৷ আছি, কেমন? যেমন থাকি আরকি৷ চায়ের কাপ এদিকে তাকায়, মন খারাপ না কি? তিন ভাগ জলে হেসে বলি, কাজের অনেক চাপ এখন৷ জিহ্বায় চায়ের স্বাদ লেগে থাকে আর একজন হাত ধরে ক্ষমা চায়৷ আমার সহিত ঘোরে জ্বরাক্রান্ত মন৷
নদীর টানে বিধ্বস্ত হয়ে হয়ে মাটিতে মিশে গেলাম৷ দৃষ্টিসীমায় দেখি প্লাবন— মনে হয় সে তো অন্য কেউ নয়, এই আমি— যার সাথে দেখা হলে পথে মাইশা চিৎকার করে ডাকে— পাগলা দাদা কই যাও? শিশুটি খলখলিয়ে হাসে৷ জগৎ বিদীর্ণ করে হাসে৷ আমিও হাসি৷ হাসতে হাসতে বলি, পকেটে হাঁসের বাচ্চা আছে, নিবি?
ওরা চলে যায়, অতীব জলের মতো— আসে দূর দূরান্ত থেকে— আসে হৃদয়ের নিকটগ্রাম থেকে৷ আসুক যতো, হোক চোর-পুলিশ খেলা, বসুক বাঘবন্দি মেলা৷ আড়ালে আবডালে হোক আয়োজন, যা কিছু রহস্যের মতো— তা থাকুক রহস্যই৷ এই ভেসে যাওয়া আশ্চর্য অঙ্গনজুড়ে— আসে শিউলীমাস৷ ফুটে ওঠো তুমি— শিউলী-বকুল৷
লেখক: কবি, গদ্যলেখক ও সম্পাদক বিন্দু
1 মন্তব্যসমূহ
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনপ্রাসঙ্গিক ও মার্জিত মন্তব্য করুন